শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
বাগেরহাট প্রতিনিধি।।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সমুন্দ্র বন্দর মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষের প্রচার প্রচারনা এখন তুঙ্গে। বিগত সাতটি পৌরসভা নির্বাচনের সবকটিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছে। তবে অষ্টমবারের নির্বাচনে নিজেদের দূর্গ ধরে রাখতে মরিয়া বিএনপি আর এই দূর্গ দখলেনিতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। ১৬ জানুয়ারী মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয় করতে তারা দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
ভোটারাও বলছেন, আধুনিক পৌরসভা গড়তে তারা যোগ্য ব্যাক্তিকে ভোট দিবেন। আচরন বিধি মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ মোংলা পোর্ট পৌরসভা। প্রথম শ্রেনীর এই পৌরসভার সিমানা জটিলতায় নিদিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। একারনে নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা। সকল নাগরিক সুবিধাসহ আধুনিক পৌরসভা গড়তে ভোটারা চান যোগ্য ব্যাক্তিকে নির্বাচিত করতে।
এদিকে, কাকডাকা ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারনা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পৌর শহর জুড়ে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও সকল অলিগলি। নির্বাচনের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী। তবে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন নিয়ে কারো শংকা থাকলে ও আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী বলছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বিশ্বাসী তারা।
সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারী নির্বাচনে মেয়র পদে মো. জুলফিকার আলীসহ ৮টি কাউন্সিলর ও ২টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে জয় পায় বিএনপি’র দলীয় প্রার্থীরা। একটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়। সীমানা জটিলতা নিয়ে মামলা থাকায় এতো দিন নির্বাচন না হলেও এবার বিএনপি দূর্গ হিসেবে খ্যাত মোংলা পোর্ট পৌরসভা দখলে নিতে কোমরকষে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত তিনটি মহিলা ওয়ার্ডে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এবারই প্রথম শতভাগ ইভিএম পদ্ধতি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোট গ্রহন।মোংলা বন্দর ও শিল্পাঞ্চল কেন্দ্রীক শ্রমিক অধুষিত এ পৌর সভার ৩১ হাজার ৫২৮জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ধানের শীষের প্রার্থী মো: জুলফিকার আলী বলেন বিগত ১০ বছর ধরে মোংলা পোর্ট পৌরসভায় যে দৃশ্য মান উন্নয়ন হয়েছে সে কারনে আবারো জনগন আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। আর অন্য দিকে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মৃত মোংলা বন্দরকে আধুনীকায়ন করছে। ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সামনে পদ্মাসেতু নির্মান কাজ শেষ হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগন এবার ১৬ জানুয়ারী নৌকাকেই বিজয়ী করবে। জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজি বেনজির আহম্মেদ বলেন আচরন বিধি মেনে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল ধরনের ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।